১টি ভালোবাসার বিরহের গল্প 😢

তোমরা যারা গল্প পড়তে পছন্দ করো আজকের আর্টিকেলটি তোমাদের জন্য, কারণ আজকে আর্টিকেলটি কোন প্রকারের ক্যাপশন কিংবা স্ট্যাটাস নিয়ে নয় বরং এখানে একটি ভালোবাসার বিরহের গল্প রচনা করা হয়েছে। আর এই গল্পটির রচয়িতা সাবিত আহমেদ🌻। তোমরা যদি এই ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিটর হয়ে থাকো তাহলে হয়তো লেখককে খুব ভালো করেই চেনার কথা, কারণ ইতিপূর্বে অসম্ভব সুন্দর সুন্দর কিছু প্রতিবেদন পাবলিস্ট হয়েছে সাবিত আহমেদের। তন্মধ্যে নতুন ইউনিক ক্যাপশন, ক্ষমামোটিভেশনাল উক্তি নামক প্রতিবেদন গুলো অন্যতম। যাইহোক সবাই নষ্ট না করে চলো এবার প্রেমের বিরহের গল্পটি পড়ে আসি।

ভালোবাসার বিরহের গল্প

একটি বর্ষার সন্ধ্যায়, যখন আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল, মীরা তার ফোনে হঠাৎ একটি মেসেজ পেলো। মেসেজটি ছিল আরিফের কাছ থেকে। “আমি কাল বিয়ে করছি,” এই চারটি শব্দ মীরাকে মুহূর্তেই হতবাক করে দিলো। এত কাছে থাকা মানুষটি এত দূরে কিভাবে চলে যেতে পারে? তার চোখে জল জমতে শুরু করলো, মনে হলো যেন সমস্ত পৃথিবী তার সামনে ভেঙে পড়ছে।

মীরা এবং আরিফের প্রেমের গল্পটা শুরু হয়েছিল ছোট্ট সেই স্কুল থেকে। তারা একসাথে বেড়ে উঠেছিল, একসাথে স্বপ্ন দেখেছিল। কলেজের দিনগুলোতে তাদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে গভীর প্রেমে পরিণত হয়েছিল। মীরা আরিফকে ভালোবাসতো তার সমস্ত হৃদয় দিয়ে, আর আরিফও প্রতিজ্ঞা করেছিল যে সে একদিন মীরাকে বিয়ে করবে। তারা দু’জনেই ভাবতো তাদের ভালোবাসা অটুট থাকবে, কোন কিছুই তাদের আলাদা করতে পারবে না।

তাদের ভালোবাসার মধুময় দিনগুলো ছিল সত্যিকার রূপকথার মতো। তারা নদীর পাড়ে হাঁটতো, সূর্যাস্ত দেখতে যেতো শহরের প্রান্তে। আরিফ মীরার জন্য গান গাইতো, আর মীরা সেই গান মন দিয়ে শুনতো। তাদের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল আনন্দময়, প্রতিটি কথা ছিল ভালোবাসামিশ্রিত। তারা একসাথে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতো, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার প্রতিজ্ঞা করেছিল।

কিন্তু ভাগ্যের নিষ্ঠুর খেলা তাদের জীবনে নেমে এল। আরিফের পরিবার হঠাৎ করে তাকে অন্য একজন মেয়ের সাথে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে শুরু করলো। সেই মেয়েটি ছিল প্রভাবশালী পরিবারের, যার সাথে আরিফের পরিবারের ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত ছিল। আরিফ প্রথমে এই সম্পর্ক মানতে চায়নি, কিন্তু পরিবারের অবিরাম চাপ এবং বাধ্যবাধকতার সামনে সে অসহায় হয়ে পড়ে।

মীরা ছুটে গেলো আরিফের কাছে, তার চোখে জল আর কণ্ঠে কান্না। “তুমি এটা কী বলছো? আমাদের স্বপ্নগুলো কি তুমি ভুলে গেছো?” আরিফ নিরুত্তর, তার চোখে কষ্টের ছাপ স্পষ্ট। সে ধীরে ধীরে বললো, “আমার পরিবার আমাকে বাধ্য করেছে অন্য কাউকে বিয়ে করতে।” মীরার হৃদয় ভেঙে গেলো। এত বছর ধরে যে ভালোবাসা, যে প্রতিশ্রুতি তারা একে অপরকে দিয়েছিল, তা সবই যেন মুহূর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে গেলো।

আরিফ বিদায় নিলো, এবং পরের দিন অন্য একজনকে বিয়ে করে নিলো। মীরা সেই খবর শুনে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়লো। তার জীবনের সমস্ত রঙ যেন ফিকে হয়ে গেলো। মধুময় দিনগুলো আজ শুধু স্মৃতির পাতায় রয়ে গেলো। মীরা নিজেকে হারিয়ে ফেললো, তার মন যেন এক বিশাল শূন্যতার মাঝে হারিয়ে গেলো।

মীরার জন্য দিনগুলো কাটানো কঠিন হয়ে পড়লো। তার হৃদয়ে ছিল শুধুই এক অপূর্ণ ভালোবাসার যন্ত্রণা। আরিফও নিজের বিবাহিত জীবনে সুখী হতে পারলো না, কারণ তার হৃদয় মীরার জন্য কাঁদছিলো। সে বুঝতে পারলো যে মীরার ভালোবাসা তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার ছিল, যা সে কখনোই ভুলবে না।

মীরা একদিন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখছিলো। তার মনে পড়লো সেই দিনগুলোর কথা, যখন আরিফ তার পাশে বসে থাকতো, হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠতো। মীরা বুঝলো, সত্যিকার ভালোবাসা কখনো ভোলা যায় না। মীরা এখনও আরিফকে ভালোবাসে, কিন্তু তার জীবনের পথ এখন আলাদা।

এই অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্পে, মীরা আর আরিফের জীবনের পথ আলাদা হলেও, তাদের হৃদয়ের কান্না কখনো থামেনি। তারা দু’জনেই বুঝতে পেরেছিল, সত্যিকার ভালোবাসা কখনো ভোলা যায় না, আর তা হারালে যে যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়, তা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়।

মীরা জানতো, তার জীবনে আবার নতুন সূচনা হবে, তবে আরিফের স্মৃতি তার হৃদয়ে চিরকাল অমলিন থাকবে। আরিফও জানতো, মীরার ভালোবাসা তার জীবনের একটি অমর মধুর স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে।

খোলা চিঠি

গল্পটি কেমন হয়েছে অবশ্যই তোমরা কমেন্ট করে জানাবে। কারণ তোমাদের পছন্দ অপছন্দই আমাদের আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

আর হ্যাঁঃ তোমার লেখা প্রিয় কোন গল্প থেকে থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেনা। কারন তোমার লেখা গল্পটি লক্ষ লোক মানুষকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার দায়িত্ব কেবল আমাদের ইনশাল্লাহ।সুতরাং এখনই তোমার রচনা কৃত গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করে পৌঁছে দিতে পারো লক্ষ্য মানুষের দ্বারা প্রান্তে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *