সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ কিভাবে নিবেন? জানুন 2025

আসসালামু আলাইকুম সবাইকে, আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য, যারা চিন্তা করতে করতে হয়রান, যে তার ১লাখ, ২লাখ কিংবা ৫লাখ টাকা লাগবে কিন্তু কোথা থেকে নেবে? কিভাবে নেবে? লোন কিভাবে উঠাবে? খুবই হয়রান বা টেনশনে আছেন, কোথা থেকে এত টাকা পাবেন এই মুহূর্তে তো আপনার টাকা লাগবে যেভাবেই হোক।

আজকে ঐ সমস্ত লোকদের পরামর্শ দেয়ার জন্যই এই আর্টিকেলটি তাই তাদের জন্য আজকের আয়োজনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক মুহূর্তের জন্যও কোন লাইন স্কিপ করা জাবেনা, তাহলে কিন্তু টেনশন দূর হবে না, টেনশন কিভাবে দূর হবে? যদি ভালোভাবে না পড়েন তাহলে বিষয়টি বুঝতে পারবেন না, লোন নিতে পারবেন না, এবং টাকা যোগাড় করতে পারবেন না।

প্রয়োজনে আমরা সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক থেকে নিয়ে থাকি। বর্তমানে আপনি পূর্ব শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন, শর্তটি হলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া। ব্যাংক কর্তৃক শর্ত আপনাকে মানতে হবে। আপনি যদি এই কয়েকটি শর্ত মানতে পারেন তাহলেই কেবল বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোন নিতে পারবেন।

সহজ কিস্তিতে লোন

বাংলাদেশে এমন কিছু ব্যাংক রয়েছে যাদের লোন ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠিন। এর মানে কিস্তিতে লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেকগুলো শর্ত মানতে হবে। কিন্তু আমাদের হাতের সময় কম থাকায় এত শর্ত মেনে লোন নেওয়া অনেকটা সমস্যা হয়ে যায়, তাই সহজ কিস্তিতে লোন কিভাবে নেওয়া যেতে পারে তা খোঁজ করে থাকি।

এই আর্টিকেলে কেবল আপনাদের সুবিধার্থে সহজ লোন, তথা জরুরী লোন বাংলাদেশ, কোথায় কিভাবে পাবেন, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

যে সমস্ত ব্যাংক লোন প্রদান করে থাকে

বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাংকই বিভিন্ন টাইপের সহজ কিস্তিতে লোন প্রদান করে থাকে। নিম্নে কিছু ব্যাংকের তালিকা প্রদান করা হলোঃ-

  • সোনালী ব্যাংক
  • ইসলামী ব্যাংক
  • রূপালী ব্যাংক
  • অগ্রণী ব্যাংক
  • ব্রাক ব্যাংক
  • প্রাইম ব্যাংক

সোনালী ব্যাংক লোন প্রক্রিয়া [সহজ কিস্তিতে লোন

সোনালী ব্যাংকে সাধারণত চারটি ঋণ প্রক্রিয়া চালু আছে যথাঃ ১/গৃহঋণ, ২/ব্যক্তিগত ঋণ, ৩/শিক্ষা ঋণ ও ৪/ক্ষুদ্র ব্যবসার ঋণ। সোনালী ব্যাংক থেকে লোন ওঠাতে বেশ কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন তার মধ্যে ঋণ আবেদন পত্র/পরিচয় পত্র/ঠিকানা প্রমাণপত্র/আয়ের প্রমাণপত্র এবং জামানতের কাগজপত্র অন্যতম। তাই সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই এই ডকুমেন্টগুলো আপনার হাতের নাগালে থাকতে হবে।

উল্লেখ্য মেয়ে অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন পত্র পূরণের পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যখন ব্যাংকে জমা দিবেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সমস্ত কাগজ পাতি যাচাই-বাছাই করে আপনাকে সোনালী ব্যাংক সহজে কিস্তিতে লোন প্রদান করবে।

ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও চারটি প্রক্রিয়ায় লোন-প্রধা চালু আছে যথাঃ ১/গৃহঋণ, ২/শিক্ষাঋণ, ৩/ব্যবসায়ী ঋণ ৪/গাড়ির ঋণ। ইসলামী ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোনের ব্যাপারে রয়েছে বেশ কিছু নীতিমালা যেমনঃ এদেশের নাগরিক হওয়া/ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া/এই ব্যাংকের অধীনে একাউন্ট খোলা থাকা/পরিচয় পত্র ও ব্যাংক ডকুমেন্ট/চাকরি কিংবা ব্যবসার ডকুমেন্ট ইত্যাদি (আপনি চাইলে আমাদের সাইটে কন্টেন্ট রাইটিং এর চাকরি করতে পারেন – এর জন্য যোগাযোগ করুন)।

উল্লেখ্য ইসলামী ব্যাংকের লোনের নীতিমালা জানার পর জানাবো ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি বা প্রক্রিয়াকি? নিম্নে প্রক্রিয়াগুলো দেওয়াঃ

  • লোনের ধরনর নির্বাচন করা।
  • নিকটস্থ ব্যাংক ব্রাঞ্চে উপস্থিত হওয়া।
  • এর আগে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঙ্গে নেওয়া।
  • ম্যানেজারের সাথে আলোচনা করা।
  • পরবর্তী স্টেপ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বুঝিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য পাঁচটি স্টেপ অতিবাহিত করার পর খুব সহজে আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোন গ্রহণ করতে পারবেনঃ

ইসলামী ব্যাংক ইনকামের উপর ভিত্তি করে লোন প্রদান করে থাকে। যথাক্রমে আপনার মাসিক ইনকাম যদি 50000 এর বেশি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ১০ লক্ষ পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।

রূপালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

রূপালী ব্যাংকের লোন প্রক্রিয়া কিছুটা ডিফারেন্ট এবং থেকে যে কেউ চাইলেই অন্যান্য ব্যাংকের মত লোন ওঠাতে পারবে না। এর জন্য রয়েছে বিশেষ নীতিমালা।

অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন উঠানো অনেকটাই সহজ। এবং এই ব্যাংক থেকে প্রক্রিয়া চালু রয়েছে প্রায় অনেকগুলো যেমনঃ পার্সোনাল/ব্যবসায়িক/মুক্তিযোদ্ধা/অবসরপ্রাপ্ত/বিদেশ কর্মী/শর্ট টার্ম এসএমই ও গ্রিন ফিনান্স লোন। অগ্রণী ব্যাংক ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোন পেতে বেশ কিছু স্টেপ ফলো করতে হবে যথাক্রমেঃ দুই কপি ছবি/প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র/দুজন সাক্ষী/সাক্ষীর ভোটার আইডি কার্ড/আপনার বাসার বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস বিলের ফটোকপি।

ব্রাক ব্যাংক লোন প্রক্রিয়া – (সহজ কিস্তিতে লোন)

ব্রাক ব্যাংক বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, এটি বাংলাদেশ ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্র্যাক ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের মতো বেশ কয়েকটি লোন প্রক্রিয়া চালু রেখেছে যথাঃ

  • ব্যক্তিগত
  • গাড়ি লোন
  • বাড়ি তৈরি
  • ব্যবসা
  • শিক্ষা

অল্প কিছু নীতিমালা মেনে ব্রাক ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোন নিতে পারবেন, নীতিমালা গুলো হলঃ

  • লোন প্রক্রিয়া সিলেট করা। অর্থাৎ কি কারনে লোন নিতে চাচ্ছেন তা নির্ণয় করুন।
  • আপনার যোগ্যতা বলুন। তথা এই ব্যাংক থেকে লোন প্রক্রিয়ার সুবিধা পেতে অবশ্য আপনাকে ১৮ বছরের অধিক এবং একটি চাকরি কিংবা ব্যবসা থাকতে হবে।

উল্লেখ্য নীতিমালা যথাযথ হলে নিম্নের নিয়ম অনুসারে ব্রাক ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলন করুন ব্রাক ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলন পদ্ধতি হলোঃ

  • জাতীয় পরিচয় পত্র তথা এন আইডি কার্ড এর ফটোকপি।
  • পাসপোর্ট দুই কপি সাইজ ছবি
  • ইউটিলিটি বিলের কপি
  • ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট [শেষ ১২ মাসের]
  • সর্বশেষ আয়কর সনদ
বর্তমান ব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টারেস্ট ও প্রসেসিং ফি

বাড়ি নির্মাণ ও চাকরিজীবী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

পরিসংহার

আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাকে সহজ কিস্তিতে লোন নিতে সহায়তা করবে। এবং কোন ব্যাংক কিভাবে লোন প্রক্রিয়ার সেবা প্রদান করে সেটিরও পূর্ণাঙ্গ একটি ধারণা পেয়েছেন। এছাড়া আপনার মন্তব্য থাকলে এবং কোন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে আগ্রহী এবং তার ডিটেলস জানতে আমাদেরকে কমেন্টে জানাবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *